December 23, 2024, 4:55 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) সকাল ৮টায় কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর চাষি ক্লাব এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে নাটোর থানা পুলিশ।
এসময় মূল অভিযুক্ত দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার ধুবইলে ইউনিয়নের সাইফুলের স্ত্রী কাজলী খাতুন নবজাতককে ৮ হাজার টাকায় কিনে সদর উপজেলার খাজানগর এলাকার আরিফুল ইসলামের স্ত্রীর কাছে বিক্রি করেন। তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নবজাতকের বাবা নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা মহিষডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৯ জুন) সকালে নাটোর সদর হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ শিশুটি তার দাদি খাইরুন নাহারের কোলে ছিল। পরে দুপুর ১২টার দিকে নার্সের পোশাক পরিহিত অবস্থায় কাজলী খাতুন এসে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে নবজাতককে তার দাদির কোল থেকে নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় সে ফিরে না আসায় স্বজনরা বাচ্চাটির খোঁজ করতে থাকেন। পরবর্তীতে পুরো হাসপাতাল চত্বরে সেই নারীর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পরপরই সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। টানা অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এসময় নবজাতক চুরি ও বিক্রি করার অপরাধে কাজলী খাতুন ও শিশুটিকে কেনার অপরাধে আরেক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের কাজ বলে জানা গেছে। অন্য অভিযুক্তদের ধরতেও পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জহুরুল বলেন, মূলত এ অভিযানে নাটোর জেলা পুলিশের টিম কাজ করেছে। এই অভিযানে সহযোগিতা করেছে কুষ্টিয়া পুলিশের সদস্যরাও। এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকার বাসিন্দা কাজলী খাতুন নাটোরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তিনি বাচ্চাটাকে হাসপাতাল থেকে চুরি করে। চুরি করা বাচ্চাটি সে তার ভাইয়ের বউয়ের কাছে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে। যে কিনেছে তার নামও কাজলী, তার কোনো সন্তান নেই। এঘটনায় মামলা হয়েছে। শিশু চুরির ঘটনায় দুই কাজলীকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply